ইসরাইল-হিজবুল্লাহর সংঘাত গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটি জানান।তিনি হিজবুল্লাহর ড্রোন এবং রকেট হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে আমরা প্রতিদিন যা দেখি তার চেয়ে এবারের হামলার পরিধি ব্যাপক। তবুও কায়রোতে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে আমরা আনন্দিত।’কিরবি আরও বলেন, শনিবার যে হামলার ঘটনা ঘটল তা আগের চেয়ে বেশি উদ্বেগের। সম্প্রতি সময়গুলোতে ওয়াশিংটন এই হামলার বিষয়ে আরও সতর্ক হয়েছে। ইসরাইল লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালানোর পর ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখী হন কিরবি। সেখানে তিনি গাজায় এসব হামলার কোনো বিরুপ প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন।কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কায়রোতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন মধ্যস্থতাকারীরা। আলোচনায় ইসরায়েল এবং হামাসসহ সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে, যা আগামী কয়েকদিন ধরে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।কিরবি একটি ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এটি বলা নিরাপদ- মধ্যস্থতাকারীরা যে বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলতে চলেছে তা আমরা সাধারণত যে বিষয়ে কথা বলতে সক্ষম হয়েছি তার চেয়ে অনেক বেশি বিশদ এবং নির্দিষ্ট।’মধ্যস্থতাকারী দলগুলো এখন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং কথা বলছে। যাতে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যরা আলোচনাকে গঠনমূলক হিসাবে বর্ণনা করে চলেছে। তিনি হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বন্দী বিনিময়কে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করেছেন যা আলোচকরা সমাধান করবেন।এর মধ্যে কতজন ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তারা কারা হবেন সে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এই যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কিরবি।
Leave a Reply