জাপানের পার্লামান্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট। গত এক দশকের মধ্যে এটিই এলডিটিপ’র জন্য সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে এলডিপি এবং তার জোটের সম্মিলিত অর্জন মোট ২১৫টি আসন। জাপানকে শাসন করতে যেকোনো দল বা জোটের ২৩৩টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার কয়েকদিন আগে এলডিপি’র নতুন নেতা শিগেরু ইশিবা এই নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিন্তু এখন তার দলের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় সিদ্ধান্ত নিজ দলের জন্য বুমেরাং হয়েছে। এতে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সোমবার এক বক্তৃতায় শিগেরু বলেছেন, এলডিপি এবারের নির্বাচনে ‘কঠোর রায়’ পেয়েছে। তবে নির্বাচনের ফলাফল যাই আসুক তা মেনে নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
গত এক দশকের মধ্যে দলটি এবার সবেচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে-তে প্রচারিত ভাষণে শিগেরু বলেছেন, ভোটাররা আমাদের একটি কঠোর রায় দিয়েছেন এবং আমাদের এই ফলাফল বিনীতভাবে মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাপানের জনগণ এলডিপি’র প্রতি তাদের দঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে যাতে তারা কিছু প্রতিদান পায় এবং এমন একটি দল হয়ে ওঠে যা জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করবে।
এবারের নির্বাচনে এলডিপি’র সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পূর্বাভাস নির্বাচনের আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল জাপানের মিডিয়াগুলো। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, যদি শিগেরু ইশিবা এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তাহলে তিনিই যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জাপানের সবচেয়ে কম মেয়াদের প্রধামন্ত্রী হবেন।
২০০৯ সালের পর এই প্রথম এলডিপি তার সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি প্রায় একটানা দেশ শাসন করেছে।
এবারের নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের জন্য এলডিপি’র অনেক নেতার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকা দায়ী। গত কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলটির বেশ কিছু নেতা অর্থ কেলেঙ্করিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এতে দলটির পক্ষে ভোটারদের অনুমোদন রেটিং আশঙ্কাজনক হারেই কমে গিয়েছে।
Leave a Reply