এক সময় গ্রামবাংলার কৃষিতে হালচাষে একমাত্র মাধ্যম ছিল গরু-মহিষ। কিন্তু প্রযুক্তির যুগে হালচাষ, বাহন, সমর ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্র। আর যান্ত্রিক সভ্যতার এ যুগে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষ, বাহন ও ঘোড়ার পিঠে আরোহণ প্রায় বিলুপ্তির পথে।
তবে সময়ের বিপরীতে হেঁটে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইসমাইল মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ময়নুল ইসলাম নামের এক যুবক ঘোড়া দিয়ে করছেন হালচাষ ও মালামাল পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে এক জোড়া বলদ গরু-মহিষের দাম দুই থেকে তিন লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে অন্তত ১০ জোড়া ঘোড়া কেনা যায়। ঘোড়ার লালন-পালন খরচ ও রোগ-বালাই কম। এক বছর আগে ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটা ঘোড়া কিনি। পরবর্তীতে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হালচাষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক জোড়া ঘোড়া কিনি। স্থানীয় কৃষকরাও ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে নিচ্ছেন। অগ্রিম হালের মজুরি দিচ্ছেন প্রতি হাল ৩০ শতাংশ (১ বিঘা) জমি চাষে দাম নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা করে। ইরি-বোরো আবাদের মৌসুম চলছে। এতে হালের প্রচুর চাহিদা। যা প্রতি দিন ২-৩ হালের কাজ করে আয় হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ঘোড়ার খাদ্য বাবদ দৈনিক ব্যয় হয় ২৫০ টাকা।
চাঁদখানা নগর বন গ্রামের কৃষক মিলন মিয়া বলেন, ঘোড়ার লাঙলের ফলায় জমির গভীর পর্যন্ত চাষ হয়। অল্প সময়ে অধিক জমি চাষ করা যায়। চাষের পর মই দেওয়ার কোনো চিন্তা থাকে না। তাই ঘোড়া দিয়ে চাষ করে নিচ্ছি।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, ঘোড়া আভিজাত্যের প্রতীক। যা আদিকাল থেকে নানা কাজে এর ব্যবহার। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘোড়ার ব্যবহার বিলীনের পথে।y
এক সময় গ্রামবাংলার কৃষিতে হালচাষে একমাত্র মাধ্যম ছিল গরু-মহিষ। কিন্তু প্রযুক্তির যুগে হালচাষ, বাহন, সমর ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্র। আর যান্ত্রিক সভ্যতার এ যুগে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষ, বাহন ও ঘোড়ার পিঠে আরোহণ প্রায় বিলুপ্তির পথে।
তবে সময়ের বিপরীতে হেঁটে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইসমাইল মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ময়নুল ইসলাম নামের এক যুবক ঘোড়া দিয়ে করছেন হালচাষ ও মালামাল পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে এক জোড়া বলদ গরু-মহিষের দাম দুই থেকে তিন লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে অন্তত ১০ জোড়া ঘোড়া কেনা যায়। ঘোড়ার লালন-পালন খরচ ও রোগ-বালাই কম। এক বছর আগে ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটা ঘোড়া কিনি। পরবর্তীতে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হালচাষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক জোড়া ঘোড়া কিনি। স্থানীয় কৃষকরাও ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে নিচ্ছেন। অগ্রিম হালের মজুরি দিচ্ছেন প্রতি হাল ৩০ শতাংশ (১ বিঘা) জমি চাষে দাম নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা করে। ইরি-বোরো আবাদের মৌসুম চলছে। এতে হালের প্রচুর চাহিদা। যা প্রতি দিন ২-৩ হালের কাজ করে আয় হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ঘোড়ার খাদ্য বাবদ দৈনিক ব্যয় হয় ২৫০ টাকা।
চাঁদখানা নগর বন গ্রামের কৃষক মিলন মিয়া বলেন, ঘোড়ার লাঙলের ফলায় জমির গভীর পর্যন্ত চাষ হয়। অল্প সময়ে অধিক জমি চাষ করা যায়। চাষের পর মই দেওয়ার কোনো চিন্তা থাকে না। তাই ঘোড়া দিয়ে চাষ করে নিচ্ছি।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, ঘোড়া আভিজাত্যের প্রতীক। যা আদিকাল থেকে নানা কাজে এর ব্যবহার। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘোড়ার ব্যবহার বিলীনের পথে।
Leave a Reply